Frequently Asked Questions

FAQ


প্রশ্ন -০১: যাইতুন একাডেমি কোন ধরনের প্রতিষ্ঠান?
উত্তর: যাইতুন একাডেমি আরবি ও ইংরেজি মাধ্যম মাদরাসা/স্কুল।

প্রশ্ন -০২: যাইতুন একাডেমি কোন কারিকুলাম অনুসরণ করে?
উত্তর: যাইতুনের নিজস্ব সিলেবাস রয়েছে যার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী দ্বীন ও দুনিয়ার সকল জ্ঞান চমৎকারভাবে শিখতে পারবে। কুরআন, হাদিস, আরবি ইত্যাদির পাশাপাশি বাংলা, ইংরেজি, অংক, বিজ্ঞান, কম্পিউটার ইত্যাদি সাবজেক্ট গুরুত্ব সহকারে পড়বে। একজন শিক্ষার্থী যাইতুনে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে বাংলাদেশের ন্যাশনাল কারিকুলামে দাখিল/এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারবে। তারা চাইলে কওমি মাদরাসায় গিয়ে দাওরাহ ক্লাসেও ভর্তি হতে পারবে।

প্রশ্ন -০৩: যাইতুন একাডেমিতে হিফজ কীভাবে করানো হয়?
উত্তর: যাইতুন একাডেমিতে ডেডিকেটেড হিফজ প্রোগ্রাম রয়েছে। অভিভাবক যদি সিদ্ধান্ত নেন যে, তার সন্তানকে হিফজ করাবেন তাহলে তৃতীয় শ্রেণি থেকে আলাদা হিফজ প্রোগ্রাম শুরু হবে। মোট ৩ বছরে হিফজ শেষ হওয়ার পর ১ বছর তাহিলী /মুতাফাররিকা কোর্স করে ঐ শিক্ষার্থী সরাসরি ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবে। এরপর সে ধারাবাহিকভাবে ১০ শ্রেণি পর্যন্ত পড়া-লেখা সম্পন্ন করে ন্যাশনাল কারিকুলামে দাখিল/এসএসসি পরীক্ষা দিবে। যারা হিফজ বিভাগে পড়বে না তাদের সিলেবাসও এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে ১০ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার মধ্যে মোট ৫ পারা হিফজ সম্পন্ন হবে।

প্রশ্ন -০৪: যাইতুন একাডেমিতে পড়ে কি আমার ছেলে মেয়ে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবে?
উত্তর: যাইতুন একাডেমিতে আপনার সন্তান পড়া-লেখা করে ভবিষ্যতে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারও হতে পারবে ইনশাআল্লাহ। এখান থেকে আলিম/এইচএসসি পাশ করার পর তারা মেডিকেল, বুয়েটসহ বিভিন্ন কলেজ ভার্সিটিতে ভর্তি হতে পারবে ইনশআল্লাহ।

প্রশ্ন -০৫: যাইতুন একাডেমি থেকে আলিম/এইচএসসি পাশ করার পর কি শিক্ষার্থীরা মদিনা, আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যেতে পারবে?
উত্তর: হ্যা। শিক্ষার্থীরা যাইতুনে পড়ার পর মদিনা ও আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাবেন ইনশাআল্লাহ।

প্রশ্ন -০৬: যাইতুন একাডেমির বিশেষত্ব কী?
উত্তর: যাইতুন একাডেমির বিশেষত্ব হচ্ছে, শিক্ষার্থীকে এমনভাবে গড়ে তোলা যাতে সে আরবি ভাষায় বিশেষ পারদর্শিতা ও শরীয়াহ বিশেষজ্ঞ হতে পারে। পাশাপাশি ইংরেজিসহ দুনিয়াবী জ্ঞানেও হবে সমৃদ্ধ।

প্রশ্ন -০৬: যাইতুন একাডেমিতে ভর্তির সময় কখন?
উত্তর: যাইতুন একাডেমির স্কুল প্রোগ্রামে ভর্তির সময় প্রতি বছর সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর। প্রতি বছর পহেলা জানুয়ারি একাডেমিক ক্লাস শুরু হয়।

প্রশ্ন -০৭: আপনাদের টিউশন ফি সম্পর্কে একটু ধারনা দিন।
উত্তর: যাইতুনের টিউশন ফি সব ধরনের অভিভাবকের সাধ্যের মধ্যে। মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত অভিভাবকদের জন্য ২৫-৫০% পর্যন্ত বৃত্তির ব্যবস্থা আছে।

প্রশ্ন -০৮: সহোদর ভাই-বোনদের জন্য কত পার্সেন্ট ডিসকাউন্ট আছে?
উত্তর: সহোদর ভাই-বোনদের জন্য টিউশন ফিতে ২৫% ডিসকাউন্ট আছে।

প্রশ্ন -০৯: যাইতুনের ছাত্র-ছাত্রীরা কি অনর্গল আরবি ও ইংরেজিতে কথা বলতে পারবে?
উত্তর: হ্যা, যাইতুনের শিক্ষার্থীরা অনর্গল আরবি ও ইংরেজিতে কথা বলতে পারবে।

প্রশ্ন -১০: যাইতুন আবাসিক সম্পর্কে একটু বলুন।
উত্তর: যাইতুনের আবাসিক ব্যবস্থাপনা এক কথায় চমৎকার। সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা, কেয়ারটেকার, উন্নত পরিবেশ, মান সম্মত খাবার ইত্যাদি সুবিধা প্রতিটি শিক্ষার্থী পাচ্ছে সমানভাবে। কেউ অসুস্থ হলে মেডিকেলে ভর্তি, ডাক্তার দেখানোর সুবিধা আছে। এখানের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত খেলাধুলা করার সুযোগ পায়। সবাই পাচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সাথে পড়েন।

প্রশ্ন -১১: মেয়েদের জন্য কি আলাদা হোস্টেল আছে?
উত্তর: হ্যা, যাইতুনে মেয়েদের জন্য আলাদা আবাসিক ব্যবস্থা আছে। ৩০ পারার হাফেজে কুরআন মহিলা উস্তাজার তত্বাবধানে মেয়েরা নিরাপত্তার সাথে আবাসিকে থেকে পড়াশুনা করছে।

প্রশ্ন -১২: যাইতুন একাডেমির হিফজ বিভাগে ভর্তির সময় কখন?
উত্তর: যাইতুন একাডেমির হিফজ বিভাগে বছরের যেকোনো সময় আসন খালি থাকা সাপেক্ষে ভর্তি করা হয়।

প্রশ্ন -১৩: তাহিলী প্রোগ্রাম সম্পর্কে একটু ধারনা দিন।
উত্তর: তাহিলী প্রোগ্রাম হচ্ছে হাফেজে কুরআন ছাত্রদের জন্য বিশেষ প্রোগ্রাম। একজন হাফেজ ছাত্র এক বছর তাহিলী প্রোগ্রাম শেষে সরাসরি ৮ম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবে। এক বছরের মধ্যে সে বাংলা, অংক, ইংরেজি, আরবি ও বিজ্ঞান সাবজেক্ট পরিপূর্ণ রপ্ত করে ফেলতে পারবে ইনশাআল্লাহ।

প্রশ্ন -১৩: যাইতুনে আবেদন প্রক্রিয়া কী?
উত্তর: যাইতুন একাডেমিতে ভর্তির জন্য www.zaitoonacademy.com থেকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এরপর ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে। ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সরাসরি অফিসে ফিস পেমেন্ট করে ভর্তি সম্পন্ন করতে হবে।