যাইতুনের ১ম বর্ষপূর্তি সম্পন্ন হলো নানা আয়োজনে
শুক্রবার দিন সবাই বাসায় পরিবারের সাথেই কাটাতে চান। সপ্তাহের ছুটির দিনে বাইরের প্রোগ্রামে সহসা যেতেই চান না তারা। কিন্তু যাইতুনের প্রোগ্রাম বলে কথা।
পহেলা মার্চ রোজ শুক্রবার। ছুটির দিনেই যাইতুন একাডেমির বর্ষপূর্তি ও তৃতীয় পাগড়ি প্রধান অনুষ্ঠান। যাইতুনের কনফারেন্স হল বেলা চারটা থেকে অভিভাবক আর শুভানুধ্যায়ীরা আস্তে আস্তে আসা শুরু করলেন। একপর্যায়ে কনফারেন্স কানায় কানায় ভর্তি হলো। অনেকের ঠাঁই হলো বাইরের খোলা আকাশের নিচে।
কুরআন তেলাওয়াত দিয়ে যথারীতি প্রোগ্রাম শুরু হল। এরপর যাইতুনের সেক্রেটারি জনাব অ্যাডভোকেট রাবেয়া সুলতানা স্বাগত বক্তব্য দিয়ে প্রোগ্রাম শুরু করে দিলেন। এরপর শুরু হল যাইতুন একাডেমির শিক্ষার্থীদের নিউজ প্রেজেন্টেশন কবিতা আবৃত্তি ও নানা ধরনের উপস্থাপনা। আসরের নামাজের পরপরই উদ্বোধন করা হলো যাইতুনের নতুন স্টুডিও ও লাইব্রেরি। এরপর এল যাইতুন বুলেটিন উন্মোচনের পালা। বিগত এক বছরের নানা কর্মসূচি নিয়ে সাজানো যাইতুন বুলেটিন চমৎকারভাবে সেজেছে। সবাই বুলেটিন হাতে নিয়ে যার পর নাই খুশি।
যাইতুন একাডেমিতে বিগত দুই মাসে বিভিন্ন প্রোগ্রামের পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এরপর যাইতুনে বিগত এক বছরে বিশেষভাবে অবদানের জন্য প্রফেসর ডক্টর বিএম মফিজুর রহমান আল আজহারী এবং ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল হককে বিশেষ সম্মাননা ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
মাগরিবের পর শুরু হয় নতুন ছবক প্রদান অনুষ্ঠান। সবক প্রদান করেন প্রফেসর ডক্টর বি এম মফিজুর রহমান আল আজহারী। সবক গ্রহণ করেন যথাক্রমে সালিম মুনতাহীন, খুবাইব বিন বি এম মফিজুর রহমান, আব্দুল্লাহ বিন জসিম, এবং সাদ বিন ওমর। এরপরে পাগড়ী প্রদান করা হয় দুজন নতুন হাফেজ কে। তারা হলেন মাহির শাহরিয়ার এবং কাবিদ বিন আলম। এরমধ্যে মাহির শাহরিয়ার গত পাঁচ মাসে বিশ পারা কোরআন যাইতুনে হেফজ করেন।
পাগড়ি প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের খ্যাতিমান বিজ্ঞানী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন সাইন্স বিভাগের প্রফেসর ডক্টর শাহাদাত হোসাইন।
অনুষ্ঠানটি দোয়া মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।
অনুষ্ঠান শেষে প্রত্যেককে যাইতুনের পক্ষ থেকে ডিনারের প্যাকেট প্রদান করা হয়।